Latest News

টুথব্রাশের যেসব ভয়ংকর দিক আপনি জানেন না


টুথব্রাশ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রতিদিন অন্তত দুইবেলা কাজে লাগাই আমরা এটি। তাও যেন তেন কাজে না। আমাদের হাস্যোচ্ছল মুখের সৌন্দর্য্য বর্ধক দাঁতকে ঝকঝকে রাখতে, সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার হয় এটি।

কিন্তু পরম যত্নে নিজের মুখের ভেতরে গলিয়ে দিচ্ছেন যে ব্রাশটি, জানেন কি তাঁর মধ্যে বাসা বেধেছে কত জীবাণু? আসুন জানি আরও দরকারি কিছু তথ্য-





আপনি কি জানেন আপনার টুথব্রাশে কী আছে?
আপনার টুথব্রাশটি শত মিলিয়ন ব্যাক্টেরিয়ার আবাসস্থল। এর মধ্যে রয়েছে ই. কলি এবং স্ট্যাফিলক্কি ব্যাকটেরিয়া। এই তথ্যটি পাওয়া গেছে ইংল্যান্ডের মেনচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়। বার্মিংহামের আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা যায়, গাদ জীবাণুগুলো আছে আপনার টুথব্রাশেও। আপনার মুখও অসংখ্য ব্যাকটেরিয়ায় ভর্তি। তাই আপনি হয়ত অসুস্থ্য হয়ে পড়বেন না। তবে একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে টুথব্রাশটি পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরী।

মুখে আছে ব্যাকটেরিয়া
প্রাচীন ডমিনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর গেইল ম্যক কম্বস, আর এইচ ডি, এম এস বলেন, আমাদের মুখে রোজ শত শত মাইক্রোর্গানিজম জন্মে। কিন্তু এর কোনকিছুই চিন্তার বিষয় নয়, যতক্ষণ না মুখের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে চলে যায়।

দাঁত ব্রাশ করা ক্ষতিকর হতে পারে
ইলেকট্রিক টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে তা জীবাণুদের মাড়ির ভেতরে পুশ করতে থাকে। Oklahoma State University Center for Health Sciences এর ডেন্টিস্ট্রি এবং প্যাথলজির প্রফেসর আর টমাস এই তথ্য দেন। মুখে কিছু জীবাণু থাকে স্বাভাবিক। কিন্তু কোনভাবেই একজনের টুথব্রাশ অন্য কারও ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। চিন্তার বিষয় হল, যখন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তখন জীবাণুরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং দাঁতের ক্ষতি করে।

কমোডের কাছে দাঁড়িয়ে ব্রাশ করা ঠিক নয়
আমাদের টয়লেট গুলোয় দেখা যায়, কমোডের পাশেই থাকে বেসিন। সেখানেই আমরা ব্রাশ রাখি। প্রতিবার আমরা কমোড ব্যবহারের পর ফ্লাশ করি এবং সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া বাতাসে উড়ে চলে আসে আপনার টুথব্রাশ পর্যন্ত। আপনি নিশ্চয়ই তা মুখে পুরতে চাইবেন না? কিন্তু সেটাই আপনি করছেন নিয়মিত। আপনার টুথব্রাশটি বদ্ধ কোন কেবিনেট বা বক্সে রাখুন। আর অবশ্যই ফ্লাশ করার সময় টয়লেট সীটের ঢাকনাটি নামিয়ে দিন।

টুথব্রাশ হোল্ডার
আপনি যে হোল্ডারে টুথব্রাশ রাখছেন সেটি ব্যাকটেরিয়া ধরে রাখে আর এই ব্যাকটেরিয়া আসে টয়লেট ফ্লাশ থেকেই। জাতীয় স্যানিটেশন ফাউন্ডেশন (NSF) এর একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, টুথব্রাশ হোল্ডার বাসার অন্য সকল জিনিসের তুলনায় ৩ গুণ বেশী জীবাণু ধারণ করে। এমনকি তা রান্নাঘরের সিঙ্ক, ডিস স্পঞ্জকেও পেছনে ফেলে। মনে করে নিয়মিত টুথব্রাশ হোল্ডারটি পরিষ্কার করুন।

কীভাবে টুথব্রাশটি সংরক্ষণ করবেন?
টয়লেট থেকে টুথব্রাশ সরিয়ে এবং টুথব্রাশ হোল্ডারটি নিয়মিত পরিষ্কার করে আপনি অনেকটা জীবাণুই দূর করে ফেলতে পারবেন। আরও কিছু জরুরী টিপস দেওয়া হল এখানে-

১। প্রত্যেকবার ব্যবহারের আগে ভাল করে ধুয়ে নিন ব্রাশটি।
২। ব্রাশটি ভাল করে শুকাতে দিন, পানি ঝরে যত শুষ্ক থাকবে ব্রাশটি তত থাকবে জীবাণুমুক্ত।
৩। ব্রাশ ক্যাপ ব্যবহার করবেন না। এতে আপনার টুথব্রাশটি ভেজা থেকে যাবে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে থাকবে।
৪। আপনার টুথব্রাশটি দাঁড় করিয়ে রাখুন। নীচে রাখবেন না।
৫। হোল্ডারে রাখার সময় খেয়াল করুন, আর কারও ব্রাশের সাথে যেন না লাগে।
৬। ভুলেও অন্যের ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে এক বেলা দাঁত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন, কিন্তু নিজের আলাদা ব্রাশ দিয়েই ব্রাশ করুন। (লিখেছেন, আফসানা সুমী,প্রিয়.কম)

No comments:

Post a Comment

0

টুথব্রাশ আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রতিদিন অন্তত দুইবেলা কাজে লাগাই আমরা এটি। তাও যেন তেন কাজে না। আমাদের হাস্যোচ্ছল মুখের সৌন্দর্য্য বর্ধক দাঁতকে ঝকঝকে রাখতে, সুরক্ষিত রাখতে ব্যবহার হয় এটি।

কিন্তু পরম যত্নে নিজের মুখের ভেতরে গলিয়ে দিচ্ছেন যে ব্রাশটি, জানেন কি তাঁর মধ্যে বাসা বেধেছে কত জীবাণু? আসুন জানি আরও দরকারি কিছু তথ্য-





আপনি কি জানেন আপনার টুথব্রাশে কী আছে?
আপনার টুথব্রাশটি শত মিলিয়ন ব্যাক্টেরিয়ার আবাসস্থল। এর মধ্যে রয়েছে ই. কলি এবং স্ট্যাফিলক্কি ব্যাকটেরিয়া। এই তথ্যটি পাওয়া গেছে ইংল্যান্ডের মেনচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায়। বার্মিংহামের আলবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা যায়, গাদ জীবাণুগুলো আছে আপনার টুথব্রাশেও। আপনার মুখও অসংখ্য ব্যাকটেরিয়ায় ভর্তি। তাই আপনি হয়ত অসুস্থ্য হয়ে পড়বেন না। তবে একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে টুথব্রাশটি পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরী।

মুখে আছে ব্যাকটেরিয়া
প্রাচীন ডমিনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর গেইল ম্যক কম্বস, আর এইচ ডি, এম এস বলেন, আমাদের মুখে রোজ শত শত মাইক্রোর্গানিজম জন্মে। কিন্তু এর কোনকিছুই চিন্তার বিষয় নয়, যতক্ষণ না মুখের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে চলে যায়।

দাঁত ব্রাশ করা ক্ষতিকর হতে পারে
ইলেকট্রিক টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে তা জীবাণুদের মাড়ির ভেতরে পুশ করতে থাকে। Oklahoma State University Center for Health Sciences এর ডেন্টিস্ট্রি এবং প্যাথলজির প্রফেসর আর টমাস এই তথ্য দেন। মুখে কিছু জীবাণু থাকে স্বাভাবিক। কিন্তু কোনভাবেই একজনের টুথব্রাশ অন্য কারও ব্যবহার করা ঠিক নয়। এতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। চিন্তার বিষয় হল, যখন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তখন জীবাণুরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং দাঁতের ক্ষতি করে।

কমোডের কাছে দাঁড়িয়ে ব্রাশ করা ঠিক নয়
আমাদের টয়লেট গুলোয় দেখা যায়, কমোডের পাশেই থাকে বেসিন। সেখানেই আমরা ব্রাশ রাখি। প্রতিবার আমরা কমোড ব্যবহারের পর ফ্লাশ করি এবং সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া বাতাসে উড়ে চলে আসে আপনার টুথব্রাশ পর্যন্ত। আপনি নিশ্চয়ই তা মুখে পুরতে চাইবেন না? কিন্তু সেটাই আপনি করছেন নিয়মিত। আপনার টুথব্রাশটি বদ্ধ কোন কেবিনেট বা বক্সে রাখুন। আর অবশ্যই ফ্লাশ করার সময় টয়লেট সীটের ঢাকনাটি নামিয়ে দিন।

টুথব্রাশ হোল্ডার
আপনি যে হোল্ডারে টুথব্রাশ রাখছেন সেটি ব্যাকটেরিয়া ধরে রাখে আর এই ব্যাকটেরিয়া আসে টয়লেট ফ্লাশ থেকেই। জাতীয় স্যানিটেশন ফাউন্ডেশন (NSF) এর একটি স্টাডিতে দেখা গেছে, টুথব্রাশ হোল্ডার বাসার অন্য সকল জিনিসের তুলনায় ৩ গুণ বেশী জীবাণু ধারণ করে। এমনকি তা রান্নাঘরের সিঙ্ক, ডিস স্পঞ্জকেও পেছনে ফেলে। মনে করে নিয়মিত টুথব্রাশ হোল্ডারটি পরিষ্কার করুন।

কীভাবে টুথব্রাশটি সংরক্ষণ করবেন?
টয়লেট থেকে টুথব্রাশ সরিয়ে এবং টুথব্রাশ হোল্ডারটি নিয়মিত পরিষ্কার করে আপনি অনেকটা জীবাণুই দূর করে ফেলতে পারবেন। আরও কিছু জরুরী টিপস দেওয়া হল এখানে-

১। প্রত্যেকবার ব্যবহারের আগে ভাল করে ধুয়ে নিন ব্রাশটি।
২। ব্রাশটি ভাল করে শুকাতে দিন, পানি ঝরে যত শুষ্ক থাকবে ব্রাশটি তত থাকবে জীবাণুমুক্ত।
৩। ব্রাশ ক্যাপ ব্যবহার করবেন না। এতে আপনার টুথব্রাশটি ভেজা থেকে যাবে, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে থাকবে।
৪। আপনার টুথব্রাশটি দাঁড় করিয়ে রাখুন। নীচে রাখবেন না।
৫। হোল্ডারে রাখার সময় খেয়াল করুন, আর কারও ব্রাশের সাথে যেন না লাগে।
৬। ভুলেও অন্যের ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে এক বেলা দাঁত ব্রাশ করা থেকে বিরত থাকুন, কিন্তু নিজের আলাদা ব্রাশ দিয়েই ব্রাশ করুন। (লিখেছেন, আফসানা সুমী,প্রিয়.কম)

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.