Latest News

আইফোনের সাত সমস্যা

অনলাইন ডেস্ক:

বিশ্বখ্যাত প্রযু্ক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল বহুদিন ধরেই আইফোন বাজারে এনে বাজার মাত করেছে। তবে আইফোন যে সম্পূর্ণ নিখুঁত তা নয়। ক্রেতারা এর বেশ কিছু সমস্যার কারণে নতুন করে আইফোন কিনতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এ লেখায় দেওয়া হলো তেমন কিছু সমস্যা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে সিনেট।


বিগত প্রায় সাত বছর ধরে আইফোন নিত্যনতুন মডেল বাজারে আনছে। নতুন মডেলের আইফোন প্রায় সময়েই আগের চেয়ে বড় হয়। কিন্তু এখন বড় স্ক্রিনের আইফোন কি ক্রেতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে? এ কারণে আরও বড় আইফোনের বদলে আগের আকারেই উন্নতমানের আইফোন আনতে চাইছে অ্যাপল। অন্যদিকে আইফোনের প্রতিযোগীরা বড় স্ক্রিনের স্মার্টফোন বাজারে ছেড়ে সাফল্য অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের সঙ্গে পিছিয়ে পড়ছে অ্যাপল। আরও কিছু প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে আইফোনের। এ লেখায় দেওয়া হলো তেমন কিছু চ্যালেঞ্জ।




১. আগামী আইফোনে কী থাকবে? নতুন অপারেটিং সিস্টেম কিংবা অনুরূপ সফটওয়্যার আপডেট ছাড়া নতুন কিছু কী থাকছে? এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন উচ্চ রেজুলিশনের স্ক্রিন, দ্রুতগতির প্রসেসর ও ভালোমানের ক্যামেরা… যা প্রতিবারেই বলা হয়। অর্থাৎ প্রতি বছরেই প্রায় একই বিষয়গুলো ঘুরেফিরে আসছে। নতুন প্রযুক্তিগত বিষয় আসছে না।


২. জানা গেছে, এবার অ্যাপল স্মার্টফোনের পেছনে দ্বিতীয় ক্যামেরা যোগ করা হতে পারে। এর একটি ক্লোজআপ শটের জন্য এবং দ্বিতীয়টি ওয়াইড শটের জন্য। কিন্তু এটি কোনো নতুন বিষয় নয়। এলীজ জি৫ ও হুয়াই পি৯ স্মার্টফোনে এ বিষয়টি রয়েছে। এমনকি কোনো কোনো স্মার্টফোনে এর চেয়েও আধুনিক ক্যামেরা রয়েছে।


৩. আগের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি যোগ করা হয়েছে সর্বশেষ আইফোনে। কিন্তু এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে ক্রেতারা কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। কারণ স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ ক্রেতাদের মনমতো হচ্ছে না এখনও। অ্যাপল নতুন স্মার্টফোনগুলো হালকা-পাতলা করতে গিয়ে ভারি ব্যাটারি সংযোজন করতে পারছে না। ফলে আইফোনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের রয়েছে শক্তিশালী ব্যাটারি।


৪. বাজারের বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোনগুলো বর্তমানে মজবুত স্ক্রিন তৈরির দিকে মনোযোগী হয়েছে। মটোরোলা স্মার্টফোনে সংযোজন করেছে ‘ডিটো শাটারপ্রুফ’ স্ক্রিন। এগুলো স্ক্রিন যেমন মজবুত তেমন ব্যবহারও সুবিধাজনক। অ্যাপল মজবুত স্ক্রিনের দিক দিয়ে তাদের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে।


৫. অ্যাপল আগামী স্মার্টফোনে আর ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক রাখছে না। কিন্তু ব্যবহারকারীরা এটি উন্নয়ন নয় বরং সমস্যা হিসেবে দেখছেন।


৬. আইফোনের নতুন মডেলের স্টোরেজ থাকছে ৩২ কিংবা ৬৪ জিবি, যাই থাকুক না কেন তাতে অতিরিক্ত মেমোরি লাগানোর ব্যবস্থা সীমিত। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোনগুলোর স্টোরেজ ক্ষমতা যেমন আরও বেশি থাকছে তেমন তা বাড়তি স্টোরেজ সংযুক্ত করারও ব্যবস্থা থাকছে।


৭. অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোনগুলোতে বর্তমানে পানিরোধী ব্যবস্থা যেমন রয়েছে তেমন রয়েছে তারহীন চার্জ করার সুবিধা। এ সুবিধার দিক দিয়ে অ্যাপল পিছিয়ে রয়েছে। ভবিষ্যতে হয়ত তারা এ সুবিধা দুটি যোগ করবে। কিন্তু ইতোমধ্যেই ক্রেতারা তা পেয়ে গেছে ভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে।

No comments:

Post a Comment

0

অনলাইন ডেস্ক:

বিশ্বখ্যাত প্রযু্ক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল বহুদিন ধরেই আইফোন বাজারে এনে বাজার মাত করেছে। তবে আইফোন যে সম্পূর্ণ নিখুঁত তা নয়। ক্রেতারা এর বেশ কিছু সমস্যার কারণে নতুন করে আইফোন কিনতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এ লেখায় দেওয়া হলো তেমন কিছু সমস্যা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে সিনেট।


বিগত প্রায় সাত বছর ধরে আইফোন নিত্যনতুন মডেল বাজারে আনছে। নতুন মডেলের আইফোন প্রায় সময়েই আগের চেয়ে বড় হয়। কিন্তু এখন বড় স্ক্রিনের আইফোন কি ক্রেতাদের জন্য সুবিধাজনক হবে? এ কারণে আরও বড় আইফোনের বদলে আগের আকারেই উন্নতমানের আইফোন আনতে চাইছে অ্যাপল। অন্যদিকে আইফোনের প্রতিযোগীরা বড় স্ক্রিনের স্মার্টফোন বাজারে ছেড়ে সাফল্য অর্জন করেছে। এক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের সঙ্গে পিছিয়ে পড়ছে অ্যাপল। আরও কিছু প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ রয়েছে আইফোনের। এ লেখায় দেওয়া হলো তেমন কিছু চ্যালেঞ্জ।




১. আগামী আইফোনে কী থাকবে? নতুন অপারেটিং সিস্টেম কিংবা অনুরূপ সফটওয়্যার আপডেট ছাড়া নতুন কিছু কী থাকছে? এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন উচ্চ রেজুলিশনের স্ক্রিন, দ্রুতগতির প্রসেসর ও ভালোমানের ক্যামেরা… যা প্রতিবারেই বলা হয়। অর্থাৎ প্রতি বছরেই প্রায় একই বিষয়গুলো ঘুরেফিরে আসছে। নতুন প্রযুক্তিগত বিষয় আসছে না।


২. জানা গেছে, এবার অ্যাপল স্মার্টফোনের পেছনে দ্বিতীয় ক্যামেরা যোগ করা হতে পারে। এর একটি ক্লোজআপ শটের জন্য এবং দ্বিতীয়টি ওয়াইড শটের জন্য। কিন্তু এটি কোনো নতুন বিষয় নয়। এলীজ জি৫ ও হুয়াই পি৯ স্মার্টফোনে এ বিষয়টি রয়েছে। এমনকি কোনো কোনো স্মার্টফোনে এর চেয়েও আধুনিক ক্যামেরা রয়েছে।


৩. আগের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি যোগ করা হয়েছে সর্বশেষ আইফোনে। কিন্তু এটি এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে ক্রেতারা কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। কারণ স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ ক্রেতাদের মনমতো হচ্ছে না এখনও। অ্যাপল নতুন স্মার্টফোনগুলো হালকা-পাতলা করতে গিয়ে ভারি ব্যাটারি সংযোজন করতে পারছে না। ফলে আইফোনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের রয়েছে শক্তিশালী ব্যাটারি।


৪. বাজারের বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোনগুলো বর্তমানে মজবুত স্ক্রিন তৈরির দিকে মনোযোগী হয়েছে। মটোরোলা স্মার্টফোনে সংযোজন করেছে ‘ডিটো শাটারপ্রুফ’ স্ক্রিন। এগুলো স্ক্রিন যেমন মজবুত তেমন ব্যবহারও সুবিধাজনক। অ্যাপল মজবুত স্ক্রিনের দিক দিয়ে তাদের তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে।


৫. অ্যাপল আগামী স্মার্টফোনে আর ৩.৫ মিমি হেডফোন জ্যাক রাখছে না। কিন্তু ব্যবহারকারীরা এটি উন্নয়ন নয় বরং সমস্যা হিসেবে দেখছেন।


৬. আইফোনের নতুন মডেলের স্টোরেজ থাকছে ৩২ কিংবা ৬৪ জিবি, যাই থাকুক না কেন তাতে অতিরিক্ত মেমোরি লাগানোর ব্যবস্থা সীমিত। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোনগুলোর স্টোরেজ ক্ষমতা যেমন আরও বেশি থাকছে তেমন তা বাড়তি স্টোরেজ সংযুক্ত করারও ব্যবস্থা থাকছে।


৭. অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী স্মার্টফোনগুলোতে বর্তমানে পানিরোধী ব্যবস্থা যেমন রয়েছে তেমন রয়েছে তারহীন চার্জ করার সুবিধা। এ সুবিধার দিক দিয়ে অ্যাপল পিছিয়ে রয়েছে। ভবিষ্যতে হয়ত তারা এ সুবিধা দুটি যোগ করবে। কিন্তু ইতোমধ্যেই ক্রেতারা তা পেয়ে গেছে ভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনে।

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.